

হেলথি স্কিনের পাওয়ার উপায়গুলো এখন আর গোপন নেই। বেশিরভাগ এক্সপার্টরাই হেলথি স্কিনের জন্য ডেইলি ক্লেনজিং, মশ্চারাইজিং আর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার কথা বলবে।
অনেকেই হয়তো আপনারা স্কিন কেয়ারে “জিন্সিং (Ginseng)”-এর কথা হয়তো শুনেননি আর এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অনেক স্কিন এক্সপার্ট মনে করে যে এই জিন্সিং বর্তমান স্কিন কেয়ারে অনেক বড় একটি অংশ।
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ডগুলো হেলথি স্কিন অর্জন করার জন্য তাদের প্রোডাক্টে ন্যাচারাল আর ট্রেডিশনাল ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোতে ফোকাস করে আর এই ন্যাচারাল আর ট্রেডিশনাল ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপাদানই হচ্ছে জিন্সিং।
আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো স্কিনের যত্নে জিন্সিং কিভাবে কাজে আসে এবং এর উপকারিতা।
প্রথমে জেনে নেই জিন্সিং কি
জিন্সিং (Ginseng) হচ্ছে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান বা স্লো গ্রোয়িং ছোট উদ্ভিদ যার সাথে রয়েছে মোটা শিকড় আর এর ক্লাসিফিকেশন করা হয় তিনভাবে: এর উচ্চতা, সতেজতা আর এর রঙ দিয়ে। এটি প্রাচীনকাল থেকে চাইনিজ মেডিসিনে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ফ্রেস জিন্সিং চাষ করা হয় ৪ বছরের জন্য। এর মধ্যে সাদা জিন্সিং চাষ করা হয় ৪-৬ বছরের জন্য আর লাল জিন্সিং চাষ করা হয় ৬ বা তারও বেশি বছরের জন্য।
জিন্সিং অনেক জাতের হয় তবে আমেরিকান আর এশিয়ান জাত সবচেয়ে পরিচিত।
জিন্সিং শিকড়ে অনেকধরনের বায়ো-একটিভ কম্পাউন্ডস (Bioactive Compounds) থাকে যেমন: সেপোনিন্স (Saponins), পলিস্যাকারাইডস (Polysaccharides), পেকটিন (Pectin), সুগার (Sugar), ভিটামিন বি১, বি২, বি১২, প্যান্টোথেনিক এসিড (Pantothenic Acid) এবং মিনারেলস। এই উপাদানগুলোর সাহায্যে স্কিন সেলে অক্সিজেন সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় যা স্কিনকে উজ্জলতা দেয় আর এর সাহায্যে স্কিনের ন্যাচারাল ব্যালেন্সও রক্ষা পায়।


ত্বকে জিন্সিং-এর উপকারিতা
স্কিন হবে ইয়ং
বিভিন্ন রিসার্চ আর স্টাডি থেকে জানা যায় যে ত্বকে জিন্সিং রেগুলার ব্যবহার করলে স্কিনের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় আর একই সাথে স্কিন সেলও বৃদ্ধি পায়।
স্কিনের এই দুটি জিনিস যদি বৃদ্ধি পাওয়ার মানে হচ্ছে স্কিন তার ময়শ্চার ধরে রাখতে পারবে। আর স্মুথ স্কিন পেতে এই ময়শ্চার অনেক প্রয়োজনীয়। তাছাড়াও, স্কিন সেলও বৃদ্ধি পেলে স্কিনে দাগ বা রিঙ্কেলস পরবে না।
স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়াবে
যত বয়স বৃদ্ধি পাবে, স্কিনের ইলাসটিসিটি ততই কমতে থাকবে। আর এই ইলাসটিসিটি কমে গেলে স্কিন ঝুলে পরবে আর তার সাথে রিঙ্কেলসও পড়া শুরু করবে। স্কিন এক্সপার্টদের মতে স্কিনের ইলাসটিসিটি কমার জন্য দায়ী হচ্ছে ইউভি ডেমেজ (UV Damage)।
রিসার্চ আর স্টাডি থেকে পাওয়া গেছে যে জিন্সিং ব্যবহারে স্কিনের কোলাজেন (Collagen) আর ইলাস্টেন (Elastin) লেভেল বৃদ্ধি পায়। আর স্কিনের কোলাজেন (Collagen) আর ইলাস্টেন (Elastin) লেভেল বৃদ্ধি পাওয়ার মানে হচ্ছে স্কিন অনেক স্মুথ এবং টাইট হবে। তাই আপনি যদি বেশি টাইমের জন্য সূর্যের নিচে বা বাইরে থাকেন তাহলে জিন্সিংই আপনার বিপদের বন্ধু!
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
যাদের এটপিক ডার্মাটাইটিস (Atopic Dermatitis)-এর সমস্যা আছে তাদের জন্য জিন্সিং একটি কার্যকরী চিকিৎসা। জিন্সিং স্কিনে ন্যাচারাল স্টেরয়েড হিসেবে কাজ করে যার মানে এটি স্কিনকে একটি কার্যকরী ব্যরিয়ার দিয়ে থাকে যার ফলে স্কিনের ময়শ্চার বৃদ্ধি পাবে আর প্রদাহ কমাবে।
আপনার যদি এটপিক ডার্মাটাইটিস (Atopic Dermatitis) নাও থাকে তারপরও জিন্সিং আপনার স্কিনকে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন থেকে রক্ষা করবে। রেগুলার জিন্সিং ব্যবহারে আপনার স্কিন ব্রেকআউট, হালকা জ্বালা আর ময়শ্চার লস থেকে সুরক্ষা দিবে।
স্কিনকে করবে উজ্জ্বল
কম বয়সের একটি অন্যতম লক্ষন হচ্ছে উজ্জ্বল ত্বক কিন্তু বয়স বৃদ্ধি পেলে এটি রক্ষা করা যায় না। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্কিন থেকে উজ্জলতা চলে যায় আর স্কিন হয়ে যায় নিস্তেজ আর দুর্বল।
জিন্সিং ব্যবহারের ফলে স্কিনের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় যার ফলে স্কিনের দাগ আর রিঙ্কেলস দূর করে আর এই স্কিনের দাগ আর রিঙ্কেলস স্কিনকে অনেক কালো করে ফেলতে পারে। এই ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি আর দাগ এবং রিঙ্কেলস দূর হওয়া ফলাফল হচ্ছে উজ্জ্বল বা ব্রাইট স্কিন!
কিছু জিন্সিং সমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট হচ্ছে:
লেখক: তানভীর