ত্বকের যত্নে এক্সফলিয়েশনের গুরুত্ব কতটুকু?

স্বাভাবিকভাবে স্কিন নতুন সেলের জন্য ৩০ দিন পর পর ডেড স্কিন সেল ছাড়ে। আর স্কিন থেকে এই ডেড স্কিন সেল রিমুভ করার একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে এক্সফোলিয়েশন (Exfoliation)।

এক্সফোলিয়েটিং হচ্ছে ত্বক থেকে ডেড স্কিন সেল রিমুভ করার প্রসেস আর বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, গ্রানিউলার বা দানাদার সাবষ্টেন্স আর অন্যান্য এক্সফোলিয়েশন টুলের মাধ্যমে স্কিন থেকে ডেড সেল দূর করে।

চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই এক্সফোলিয়েশন কিভাবে ত্বকের যত্নে ভুমিকা রাখে।

স্কিনে এক্সফোলিয়েশন কিভাবে কাজ করে

সহজে বললে, এক্সফোলিয়েশন স্কিন থেকে ডেড সেল রিমুভ করে স্কিনকে সিল্কি, সফট আর স্মুথ করে।

শুরুতেই বলেছিলাম যে, স্কিন নতুন সেলের জন্য ৩০ দিন পর পর ডেড স্কিন সেল ছাড়ে। এটি যখন হয়, নিউ স্কিন সেলগুলো স্কিনের উপরের লেয়ারে তৈরি হয়। ডেড স্কিন সেলগুলো ত্বক থেকে যদি ঠিকমতো দূর না হয়, এর ফলে স্কিন নিস্তেজ, শুষ্ক দেখাবে আর স্কিনে ফ্লেকি প্যাচ (flaky patch) দেখা দিবে।

এক্সফোলিয়েশন স্কিনের সার্ফেস থেকে ডেড সেল রিমুভ করার প্রসেসে সাহায্য করে। আপনারা আপনাদের স্কিন কেমিক্যাল বা গ্রানিউলার এক্সফোলিয়েটিং প্রোডাক্ট দ্বারা এক্সফোলিয়েট করতে পারেন অথবা পিউমিস স্টোন (Pumice Stone), এক্সফোলিয়েটিং শাওার পাফ (Exfoliating Shower Puff) বা ইলেকট্রিক ক্লিনজিং/ এক্সফোলিয়েটিং ব্রাশ (Electric Cleansing/Exfoliating Brush) এর মতো এক্সফোলিয়েশন টুল দ্বারাও স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে পারেন।

এক্সফোলিয়েশনের উপকারিতা

স্কিন ব্লেমিস আর ব্রেকআউট কমায়  

আপনার স্কিন যদি একনে-প্রন বা ব্লেমিসড বা দাগপ্রবন হয়, তাহলে আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে এক্সফোলিয়েশন অ্যাড করা উচিৎ। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে স্কিনের পোরগুলো আনক্লগড হবে যা স্কিনে ওয়াইটহেড আর ব্ল্যাকহেড হওয়া কমিয়ে আনবে।

স্কিনের হাইড্রেশন আর ময়েশ্চার লেভেল বাড়ায়

রেগুলারলি স্কিন এক্সফোলিয়েট করলে স্কিন থেকে ডেড সেল রিমুভ করার প্রসেস আরও দ্রুত হবে আর স্কিনকে ড্রাই আর ফ্লেকি হওয়া থেকে দূরে রাখবে। এক্সফোলিয়েটিং এর পর নতুন স্কিন সেলে ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করলে স্কিনের ময়েশ্চার শোষণ বা এবসর্বসন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যা স্কিনকে করবে হেলথি আর হাইড্রেটেড।

স্কিনের এজিং প্রসেসকে চ্যালেঞ্জ করবে

এক্সফোলিয়েশন স্কিনের পিগমেন্টেড সেল (pigmented cell) ব্রেক করতে আর ড্রাই স্কিনের বিল্ড-আপ দূর করতে সাহায্য করবে যার ফলে বয়স হওয়া সত্ত্বেও আপনার স্কিন উজ্জ্বল, মসৃণ এবং কোমল হবে।

রেগুলার এক্সফোলিয়েটিং আর ময়েশ্চারাইজিং করলে আপনি দেখবেন যে আপনার দুর্বল এবং শুষ্ক ত্বক নরম এবং উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে।

ব্লাড ফ্লো বৃদ্ধি পাবে

এক্সফোলিয়েটিং এর মোশনের দ্বারা স্কিনের ব্লাড ফ্লো বা সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় যার মাধ্যমে স্কিনে থাকা টক্সিনগুলো বের হয়ে যায়।

স্কিনের ব্লাড ফ্লো বা সার্কুলেশন আর লিম্ফ ড্রেনেজ (lymph drainage) বাড়ানোর একটি অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে এক্সফোলিয়েশন। আর স্কিনের ব্লাড সার্কুলেশন ভালো করার ফলে স্কিনের ইলাস্টিসিটি বেড়ে যাবে আর একই সাথে দেহের গ্রোথ আর রেডিয়েন্স বৃদ্ধি করবে।

কিছু ভালো ব্র্যান্ডের এক্সফোলিয়েটর প্রোডাক্ট হচ্ছে:

লেখক: তানভীর

Leave a Reply